About Us

আমাদের এই সমাজে ভয়াবহ এক ব্যাধির নাম- ঋণ। ঋণকে বলা হয়, হাঙ্গর। গিলে খায়। মানুষের দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে, কখনো ব্যাংক, কখনো এনজিও, কখনো মহাজন তাদের পাকড়াও করে। কারেন্ট জালে আটকিয়ে তাদের সর্বস্বান্ত করে ছাড়ে। কেউকেউ করে আত্মহত্যাও। গরীবের উন্নয়নের নামে, সুদের ভায়াবহ এই ব্যবসার ফলে, সুদের ঋণ টানতে টানতে তারা সর্বশান্ত হয়। উন্নয়ন কেবল স্লোগান। উন্নয়ন তাদের নিজেদের। গরীবের না। গরীবের মরণ। এসব ঋণের সুদ এতই ভয়াবহ যে, কোন কোন ক্ষেত্রে তা ১৫০% এর উপরেও দাঁড়ায়। পৃথিবীর ইতিহাসে এত সুদ আর কোন দেশে নেই। এটা আত্মঘাতী। ভয়ানক। ধর্মেও সুদকে হারাম করা হয়েছে । কিন্তু তারপরও সুদের বাণিজ্য দিনদিন প্রকট হয়ে উঠছে।আমাদের দেশে। এর বিরুদ্ধে কেউ-ই কথা বলে না। সরকার না। রাজনীতিবিদ না। ধর্ম প্রচারক না। উন্নয়নকর্মীও না। তাহলে ?  

সরকার কথা বলে না কারন সে  নিজেই সুদের বাণিজ্য করে । ব্যাংকের মাধ্যমে। সে কী ব্যবস্থা নেবে ? এনজিওওয়ালারা উন্নয়নের নামে সুদের জাল বিস্তার করছে গ্রামে গঞ্জে। আর আমাদের মুনাফাখুর মহাজনেরা , মানুষের দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে, বিপদের সুযোগ নিয়ে, চড়া সুদে তা চাপিয়ে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর। চোখের পলকেই আসল হয়ে যায় দ্বিগুণ, ১০০ টাকা লাভ হয় না, তাকে দিতে হয় ৫০০ টাকা সুদ। ভারসাম্য হারিয়ে সুদ গ্রহীতা তখন, অন্য মহাজনের দিকে হাত বাড়ায়। এক সুদ মারতে, ধরে আরেক সুদ। সুদের জালে পেঁচিয়ে হয়ে যায় সে মাছ। ছুটার কুদরত নেই। দম ছোট হয়ে আসে। ভিটে ছাড়া হয়। উদ্ভাস্ত হয়। পালিয়ে বেড়ায় । সমাজের এই করুণ গল্প আমরা দেখি । দেখেও না দেখার ভান করি কখনো । আর দাবী করি- আমরা মানুষ। আসলেই মানুষ ! মানুষ হলে- মানবতা কই ? উদ্যোগ কই ? টেনে তুলার হাত কই ? 

সুদ বন্ধ করতে হবে। আমরা  একটা পন্থা  বের করেছি - সুদমুক্ত ঋণ । যা নিবা তা দিবা। কোন সুদ দিতে হবে না। ফি না। এমন কী ফরম কেনার জন্য দুই টাকাও না। বরং সুদমুক্ত ঋণ নিলে ৫ টা চারা পাবেন । ফল ও ফুলের। সেই গাছ লাগাবেন বাড়ির আঙ্গিনায়। একদিন ফুল ফুটবে। ফল ঝুলবে গাছে। পাতারা মর্মরিত হবে। কিন্তু কিভাবে ?  আসুন এখন বলি- আমাদের এই সুদ মুক্ত ঋণ কি ? এই ঋণের সুফল কি ? 

ঋণের সুফল 

১  সুদ নেই । 

২ ফি নেই । 

৩ উদ্যোগতাকে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করা । 

৪ সুদের বিরুদ্ধে গন সচেতনা তৈরি । 

৫ ফ্রি পরামর্শ । 

৬ সফল ভাবে কিস্তি প্রদান করা গ্রাহকের পুনরায় ঋণ প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার। 

৭ ফ্রি গাছ দিয়ে সবুজায়নে সাহায্য । 

৮ একজনের কিস্তি পেয়ে তা অন্যজনকে দেয়ায়, একই টাকায় একাধিক লোক উপকৃত হওয়ার সুযোগ। 

৯ স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করায় প্রশাসনিক খরচ কম । 

১০ নিজস্ব ওয়েব সাইডে ঋণগ্রহীতার বিস্তারিত থাকবে। একজন দাতা চাইলেই , জানতে পারবেন, তার টাকা কোথায় আছে, তা দিয়ে কী হচ্ছে এবং তিনি সরাসরি ঋণ গ্রহীতার সাথে যোগাযোগও করতে পারবেন। 

পদ্ধতি 

ঋণ কার্যক্রম ফান্ড তৈরি হবে মানুষের অনুদানের টাকায়। অনুদান হবে সর্ব নিম্ন ১২,৫০০  টাকা বা সম পরিমাণ অর্থ। কেউ চাইলে কমও দিতে পারেন কিন্তু সেটা ওয়েবসাইডে প্রদর্শিত হবে না । আপনাদের অনুদান  প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকে গচ্ছিত থাকবে এবং তা থেকে কোন সুদ কিংবা লাভ গ্রহণ করা হবে না। প্রতি এলাকায় ঋণ প্রদানের জন্য একটি কমিটি থাকবে। আবেদনকারীর সাক্ষাত গ্রহণ করে, তারাই  সিদ্ধান্ত নেবেন- ঋণ দেবেন কিনা ? কত টাকা দেয়া যায় এবং ঋণ পরিশোধের কয়টা কিস্তি থাকবে। সর্বচ্ছ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া যাবে। ক্ষুদ্র ঋণ । ঋণের কিস্তি সর্বচ্ছ দুই বছর। ঋণ গ্রহীতার পক্ষে দুই জন সচ্ছল জামিনদার থাকবেন । ঋণ গ্রহণকারী যদি ঋণ পরিশোধে অপরাগ হন, তাহলে জামিনদারদেরই সে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ঋণ গ্রহীতার টাকা পাওয়া গেলে, সেই টাকা আবার অন্য একজনকে দেয়া হবে এবং এভাবেই অনুদানের টাকায় অসংখ্য মানুষ উপকৃত হবে। সেখানে কোন সুদ তো থাকবেই না , লাভও না । পাড়ার কোন ক্লাব কিংবা সমিতি কিংবা মসজিদ, মন্দির, গির্জা কমিটি  স্বেচ্ছায় তা পরিচালনা করতে পারবেন । প্রশ্ন করতে পারেন- কেউ যদি টাকা মেরে দেয় কিংবা ঋণ গ্রহীতা মারা যান  কিংবা জামিনদারও ঋণ পরিশোধ করতে অস্বীকার করে, তখন কী হবে ? 

যিনি দান করবেন, যার দানের টাকায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে, তিনি এক্ষেত্রে ধরে নেবেন, এই টাকা তার জাকাত বাবদ ব্যয় হয়েছে। অথবা তিনি তাকে মাফ করে দিয়েছেন। অনুদানকারী ইচ্ছে করলে, উপকৃত হওয়া মানুষটির সাথে কথাও বলতে পারবেন। তিনি জানবেন , তার টাকা কার হাতে, তার টাকায় গ্রহীতার কত টুকু উপকার হচ্ছে, সে কতটুকু স্বাবলম্বী হচ্ছে। টাকার ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে কিনা। এক টাকায় অনেককে সাহায্য করার উদ্যোগ এটি। ঋণের বুঝা থেকে অসহায় মানুষকে বাঁচানোর পথ এটি, ধর্মীয় পাপ থেকে ফেরানোর উদ্যোগ এটি এবং রাষ্ট্রের ঋণ পরিশোধের এটিও হতে পারে আরেকটি পথ। 

আরেকটি কথা- সুদ মুক্ত এই ঋণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। এখন পরিচালনায় কোন খরচ লাগছে না। কিন্তু একসময় হয়ত দেখা যাবে যে- এই কার্যক্রম অনেক বড় হয়ে গেছে । স্বেচ্ছাশ্রমে কুলাচ্ছে না। তখন হয়ত অফিস দরকার হবে। ফুল টাইম লোক লাগবে। আর এসব লাগা মানেই স্থায়ী একটা খরচের দিকে হাত বাড়ানো। প্রস্তাব হচ্ছে- একজন দাতা ন্যূনতোম একটা স্লট বা সদস্য পদ কিনবেন । প্রতিটা স্লট ১২,৫০০ টাকা। ২৫০০ টাকা খরচের জন্য, আর ১০ হাজার লোন একাউনটে। ফলে হবে কী- লোনের টাকাটা ঠিক থাকবে। আর ওই যে ২৫০০ টাকা অতিরিক্ত দিলেন, সেটা দিয়ে ঋণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং কোন ঋণ গ্রহীতা যদি দেউলিয়া হয়ে যান কিংবা মারা যান , তাহলে পরিচালনা ফান্ড থেকে এই টাকাটা এডজাস্ট করা হবে। ফলে ঋণের মূল টাকাটা ঠিক-ই থেকে গেল। আর খরচ কিংবা দেওলিয়া হয়ে যাওয়া লোকের টাকার ঘাটতি পূরণ করতে ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে কোন অতিরিক্ত টাকা কিংবা সুদ নেয়ার প্রয়োজন হবে না । খরচের টাকা থেকে কিছু বাঁচলে, সেই টাকা থেকে একটা জরুরি তহবিল গঠন করা হবে। যা থেকে দরিদ্র মানুষের জরুরি চিকিৎসা, দাফন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং দুর্ভিক্ষ কালীন সময়ে খাদ্য সাহায্যে এই তহবিল থেকে ব্যবহৃত  হবে। দাতা ঘরে বসেই অ্যাপসের মাধ্যমে যাবতীয় কার্যক্রম দেখতে পারবেন এবং টাকার হিসাব জানতে পারবেন। 

সুদমুক্ত কার্যক্রমের হিসাব হবে স্বচ্ছ। দাতাদের টাকা কাকে, কখন দেয়া হলো, কত টাকা আদায় হচ্ছে , তা অ্যাপসের মাধ্যমে জানতে পারবেন। দাতার টাকা, যাকে দেয়া হল, তার কন্টাক্ট নাম্বার দাতাকে দেয়া হবে। দাতা ইচ্ছে করলে ঋণ গ্রহীতার সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন। জানতে পারবেন, তার অগ্রগতি, সমস্যা, কিস্তির টাকা সময়মত পরিশোধ করছে কিনা, ইত্যাদি। কারো কোন সন্দেহ থাকলে অনুদান না দেয়াই উত্তম। আপনি দান করবেন মুক্ত হস্তেই । অন্যের পাপের ভাগীদার অবশ্যই আপনি হবেন না। আপনার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। অনুদান দিয়ে,  শ্রম দিয়ে, সাহায্য করবেন আশা করি । কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই করবেন। আল্লাহ আপনার দানকে কবুল করুক। আমিন। 

অনুদান পাঠানোর ঠিকানা- 

Ja Niba Ta Diba

Account No- 5910502002256

Sunamganj Branch

Sonali Bank Ltd . 

বিকাশ- ০১৭১৬৭৫০৮০৮ ( ব্যক্তিগত ) 

বিস্তারিত জানতে #  Email : janiben.interestfree@gmail.com 

Phone : বাংলাদেশ-01716750808,  লন্ডন 0044-07553511438,  আমেরিকা- 0019295004262  ফ্রান্স- 0033695319737  জার্মানি- 004915226359878  সংযুক্ত আরব আমিরাত - 00971556336110